অদ্ভুদ সেই মেয়ে টি

অদ্ভুদ সেই মেয়ে টি ! র্পব-১০ (শেষ)

আঙ্কেল চলে গেল।আজ কেন জানি
আমি
মেঘার প্রতি
অনেক দূর্বল হয়ে পড়ছি।ওকে খুব
ভালোবেসেও ফেলেছি।মিছ্ও
করছি খুব।তাই ওকে দেখতে গেলাম।গিয়ে
দেখলাম মেঘা শুয়ে
আছে।আমাকে দেখতেই বলে উঠল…
আপনি এখানে কেন? দিঘা ওকে এখান থেকে
যেতে বল।
(ততোক্ষনে মেঘার চোখ ভিজে গেছে)
ওকে আমার দেখতে
ইচ্ছা করছে না একদম।।
বলেই মুখ ঘুরিয়ে নিল আমার থেকে।আমি
কিছুই বলতে পারলাম না।চলে আসলাম ওখান থেকে।
আজ কেনো
জানি খুব খারাপ লাগছে।খুব কাঁদতে ইচ্ছা করছে।কিন্তু
আমি
কাঁদতে পারছি না শুধু চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে
পড়ছে। সারা দিন
আর বাইরে গেলাম না।ঘরেই বসে রইলাম।সন্ধ্যায়
একটু ছাঁদে
গেলাম।গিয়েই দেখলাম মেঘা একা একা দাঁড়িয়ে
আছে।আমি
আস্তে আস্তে মেঘার পাশে গিয়ে দেখলাম
মেঘার চোখ ভিজে।
কি করবো আমি বুঝতে পারছিলাম না।হঠাৎ মেঘার
হাতের উপর
আমি হাত রাখলাম।মেঘা আমাকে দেখতেই হাতটা
সরিয়ে
নিলো।তখনি আমি মেঘার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে
বললাম…
প্লিজ মেঘা আমার কথাটা একটু শোনো।আমি
তোমাকে খুব কষ্ট
দিয়েছি তাই না? আমি আর তোমাকে কোনোদিনও
কষ্ট দিবো
না।প্লিজ আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও।তোমাকে
আমি খুব মিছ
করছি ।আমি তোমাকে খুব খুব ভালোবেসে
ফেলেছি। আর একটা
সুযোগ দাও প্লিজ তোমাকে ভালবাসার।
শুধুমাত্র একটা।।
মেঘা কিছু না বলে চলে যাচ্ছিলো কিন্তু আমি ওর
হাতটা ধরে
ফেললাম।আর হাত ধরা মাত্রই বুকে জড়িয়ে নিলাম।
মেঘা
নিজকে খুব ছাড়ানোর চেষ্টা করল কিন্তু আমি যে
নাছড়
বান্দা,ওকে কোনো মতেই ছেড়ে দিলাম না।আমি
বললাম…
ছেড়ে দেওয়ার জন্য তো তোমাকে ধরি নি।তুমি
তো ছাড়তে
পারবানা আমায় হুম্।
এরপর মেঘা আমাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুসি দিতে শুরু
করল।
তাতেও আমি ছেড়ে দিলাম না।এবার মেঘা আমাকে
অবাক
করিয়ে খুব শক্ত করে আমায় জড়িয়ে ধরল।আমি
তো পুরাই বোকা
বনে গেলাম।দেখলাম মেঘা কাঁদছে।আমি বললাম…
কাঁদছো কেন?
কেঁদেই চলেছে….
প্লিজ কেঁদো না।
তাহলে আমাকে এত কষ্ট দিলা কেন?
আমি খুব সরি আর কষ্ট দিবো না।
সত্যি তো?
হ্যাঁ বাবা হ্যাঁ সত্যি বলছি।এবার তুমি আমাকে একটু
ছেড়ে দাও।
এতো জোরে জড়িয়ে আছো যে নিঃশ্বাষ
নিতে কষ্ট হচ্ছে।
হে হে হে না আমি পারবো না।।বলেই আরো
জোরে জড়িয়ে
ধরল।
এ অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য মেঘাকে বললাম…
ছাড়ো সবাই
দেখছে।।
আর তখনি আমায় ছেড়ে দিল।
কই সবাই? বলেই আমার চোখের দিকে তাকাতেই
চোখ নামিয়ে
নিল।
মেঘা হয়তো বুঝতে পারছে যে আমার চোখ কি
বলছে তাই
মেঘা আমার সামনে থেকে পিছাতে শুরু করে।আর
আমিও মেঘার
দিকে আগাতে লাগলাম।
একপর্যায়ে সিঁড়ির ঘরের দেওয়ালে মেঘার পিট
ঠেকে গেল।
মেঘা আর আমার থেকে পিছাতে পারছে না।
আমি মেঘার দুই পাশ দিয়ে হাত দেওয়ালে রাখলাম।
এবার মেঘা
সামনে, পিছনে, ডানে, বামে কোনো দিকেই
যেতে পারছে না
এটা দেখেই খুব হাসি পাচ্ছিলো।
আমি যতই এগুচ্ছি ততোই মেঘার শ্বাষ-প্রশ্বাষ আমি
অনুভব করছি।
আমি খুব কাছে আসাতে মেঘা চোখ ও ঠোট দুটাই
বন্ধ করে
ফেললো।কিছু সময় পর চোখ খুলে দেখার
চেষ্টা করল আর তখনি
মেঘার ঠোটে ভালবাসার চিঁহ্ন এঁকে দিলাম।।
এরপর মেঘাকে ছেড়ে দিলাম।দেখলাম মেঘা
কিছুই বলছে না।
কিছু সময় পর মেঘা আমার দিকে তাকালো।তাকিয়েই
একটা
মুচকি হাসি দিয়ে দৌড় দিল।মনে হয় লজ্জা পাইছে।হি হি
হি হি
** এভাবেই শুরু হল আমাদের ভালবাসার গল্প **
(সমাপ্ত)
 


বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *