অদ্ভুত ভালোবাসা ! পর্ব- ৯+১০
গল্প বিলাসী (Nishe)
।
এখানেই শুরু হলো নীল আর নিশির ভালোবাসারর গল্প
।
হ্যালো নীল বলো
।
কি করছো এখন?
।
এইতো তুমি?
।
অফিসে আছি। একটু সময় হবে?
।
হুম। কোথায়?
।
অফিসে আসো
।
ওকে আমি আসছি।
বাই ( অনেক দিন পর আজ দেখা হবে কি পরে যাই? ইয়াহ এইটাই বেস্ট।
নীল থ্রীপিস পরে বের হলাম)
।
অফিসে
।
নীল দেখো আমার ভূল হয়ে গেছে আমাকে একটা সুযোগ দাও
।
অদিতি তুমি খুব ভালোভাবে জানো আমি একজন কে ভালোবাসি
।
হ্যা জানিতো তুমি আমাকেই ভালোবাসো নীল আমি জানি তুমি আমার উপর
অভিমান করে আছো
।
নাহ আমি তোমাকে ভালোবাসি না আমি নিশিকে ভালোবাসি আর হ্যা
তোমাকে আমি ভালোবাসতাম এখন ভালোবাসি না
।
নিশি?
কে সে?
তাতে কোনো সমস্যা নেই
এখন শুধু আমাকেই ভালোবাসবে শুধু আমাকেই
।
তোমাকে? তোমাকে ভালোবাসার প্রশ্নই আসেনা। তুমি ভালোবাসা কি
বুঝ? বুঝ শুধু টাকা
আজ আমার টাকা আছে তাই আমার কাছে ছুটে এসেছো সেদিন
ছিলোনা তাই তুমিও চলে গিয়েছিলে
।
নীল প্লিজ আমাকে একটা সুযোগ দাও আর তুমি এমন কাকে
ভালোবাসো যে তোমার টাকাকে না তোমাকেই ভালোবাসে এমন
কেউ কি পৃথিবীতে আজ ও আছে
।
একটা পরিক্ষা করেই দেখোনা সে তোমাকে নাকি তোমার টাকাকে
ভালোবাসে?
।
আমার ভালোবাসার প্রতি আমার বিশ্বাস আছে সবাই তোর মতো
লোভী না
।
মুখে না বলে প্রোভ করে দেখাও
।
তোর মতো মেয়ের কাছে আমার নিশির ভালোবাসা প্রোভ
করবো?
ভাবলি কি করে তুই?
।
ভাবতে হবেনা।
।
তাহলে আমার পিছু ছেড়ে অন্য কাউকে নিয়ে আবার ভালোবাসারর রং
তামাশা শুরু কর
।
হুম করবো একশর্তে
।
প্রশ্নবোধক চোখে তাকালাম অদিতির দিকে
।
এককোটি লাগবে
।
এইতো তোর লোভী মুখটা আবারো ভেসে আসছে চলে যা
আমার অফিস থেকে আর নয়তো ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো
।
আমিও তোকে দেখে নিবো কি করে নিশিকে নিয়ে সংসার করিস সব
শেষ করে দেবো আমি তুই ভাবতেও পারবিনা আমি কি করতে পারি
just wait and watch
।
বলেই অদিতি চলে গেলো
বসে বসে ভাবতে লাগলাম সত্যিই কি নিশি আমাকে ভালোবাসে নাকি আমার
টাকাকে?
।
কিভাবে বুঝবো আমি?
নিশিও যদি অদিতির মতো হয়?
।
অদিতির কথা গুলো শুধু মাথায় ঘুরছে নিশিও কি আমাকে ছেড়ে চলে
যাবে যদি কখনো টাকা আমাকে ছেড়ে চলে যায়
।
এতো জ্যাম পুরো ১ঘন্টা সময় লাগলো এই জায়গা টা আসতে না জানি
মহারাজ কতো রেগে আছে
।
এই নীল! নীল!
।
ওহ তুমি! কখন আসলে?
।
কখন থেকে ডাকছি তোমাকে?
কি হয়েছে? Anything wrong?
।
নিশির দিকে তাকাতেই মনে হলো অদিতির কথা কতো ভালোবাসা ছিলো
দুজনের যেদিন টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ি থেকে বাবা বঞ্চিত করে দিয়েছে
সেদিন অদিতির ভালোবাসা থেকেও আমায় বঞ্চিত করে দিয়েছিলো
অদিতি
।
ওই কি হয়েছে তোমার কখন থেকে কি ভাবছো চলে যাবো আমি?
।
কই নাতো চলো বাসায় যাবো।
।
হুম চলো।
।
নীল বাসায় কেনো? চলনা অন্য কোথাও যাই।
।
নাহ আজ না অন্য দিন যাবো। আরে তুমি ভয় পাচ্ছো কেনো বিয়ের
আগে আমি কিছুই করবো না don’t worry
।
নীল আমি কি তোমাকে এসব কিছু বলেছি?
।
বলোনি তো এমনি বললাম
।
তারপর দুজনেই চুপ
।
কি হলো চুপ করে আছো কেনো? আরে বাবা আমিতো just মজা
নিয়েছি। আচ্ছা sorry
।
,,,,,,,,
।
কি হলো কথা বলোনা কেনো?
।
আর কখনো এমন কথা বলবোনা
এবারতো কথা বলো
।
হুম। এমন মজা যেনো আর কখনো না নেয়া হয়।
।
হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো
।
আরে এই অসময়ে আবার বৃষ্টি আসলো কোথা থেকে?
।
এই চলোনা ভিজবো আজ কে প্লীজ
।
তোমার ঠান্ডা লাগবে নিশি
।
কিচ্ছু হবেনা বলেই নেমে গেলো গাড়ি থেকে
।
নিশির সাথে হাটছিলাম ঠিক কিন্তু আমার মাথায় শুধু একটাই ভাবনা নিশিও কি আমায়
ছেড়ে
চলে যাবে?
।
একদম কাক ভেজা হয়ে গেলাম দুজনে।
।
এই নীল? আজ আর আমি বাসায় যাবোনা আমি বরং বাসায় চলে যাই আর তুমিও
গিয়ে change করে নাও
।
ওকে মহারানী লাভ ইউ
।
লাভ ইউ টু
।
দুজন দুজনের বাসায় চলে আসলাম
।
আমি এসেই খাবার খেয়ে কিছু মেডিসিন খেয়ে নিলাম যেনো জ্বর না
আসে।
।
ওহ নিশির জন্য আজকে ভিজতে হলো মাথাটা কেমন ভাড় হয়ে আসছে
মনে হয় জ্বর আসবে।
।
ড্রেসটা change করে শুয়ে পরলাম
।
রাতে নিশির সাথে কথা বলে ঘুমিয়ে পড়লাম
।
সকালবেলা
।
যাক বাবা জ্বর উঠেনি ভাগ্য ভালো নীলের কি অবস্থা ওর আবার জ্বর
উঠেনি তো
।
কল দিলাম ধরছেনা নাকি ঘুমাচ্ছে কিন্তু এখন তো অফিসে থাকার কথা
ধরছেনা কেনো?
অফিসে থাকলে ওতো মেসেজ করে
।
বেশি কল দেখলে পড়ে আরো টেনশনে পড়ে যাবে তাই আর
দিলাম না।
।
ফ্রি হয়ে নীলই কল দিবে আমি বরং একটু শুয়ে থাকি ভার্সিটিতে যেতে
ইচ্ছে করছেনা আজ
।
নিন্স : স্যার এরতো অনেক জ্বর কি করবো এখন?
।
জেন্স : আমি নিশিকে একটা কল করি দেখি নিশি এসে যদি খাওয়াতে পারে
।
হুম তাই করো
।
হ্যালো নিশি
।
কি বলছো?
।
ওকে আমি আসছি
।
নিন্স : এটাই সুযোগ যা করার এখনি করতে হবে অদিতি মেম আপনি বুঝতে
পারছেন না কেনো?
।
ওকে আমি এখনি পাঠাচ্ছি
ও কি চলে এসেছে?
।
নাহ এখনি আসবে।
।
এইতো নিশি চলে এসেছে।
।
কোথায় তোমাদের স্যার?
।
রুমে।
।
ওকে আমি যাচ্ছি। জেন্স তুমি একটু কষ্ট করে খাবার টা রুমে দিয়ে যাও
দেখি খাওয়ানো যায় কিনা
।
ওকে আমি পাঠাচ্ছি
।
নিন্স : এহ এমন ভাব যেনো নিজের জামাই তুই কোনো দিনও স্যারের
হতে পারবিনা এই নিন্স থাকতে স্যারের হবে শুধু অদিতি মেম
।
আল্লাহ এতো জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে।
।
রনিকে ডেকে সাইড করে শুয়ে দিয়ে মাথাটা ধুয়ে দিয়েছি
।
কাল যদি এসে গোসল করে নিতো তাহলেতো আর এমন হতো না
।
জেন্স কে দিয়ে নীলের ফেমিলি ডক্তরের সাথে কথা বলে
মেডিসিন ঠিক করে নিয়েছি
।
এখন খাওয়াতে পারলেই হয়
।
নীল একটু খেতে হবে না খেলে মেডিসিন খাওয়া যাবেনা
।
খুব জোড় করে খাইয়ে মেডিসিন খাইয়ে দিলাম এখন জ্বরটা কমলেই বাচি
।
সব আমার জন্য আমি যদি ভিজতে না চাইতাম তাহলেই তো এমন হতো না
নীলের ও এতো কষ্ট সহ্য করতে হতো না
।
চোখ খুললাম এখন আর মাথা ব্যাথা করছেনা
।
কি মহারাজ ঘুম শেষ হলো?
।
তুমি কখন এলে? আমাকে ডাকলেনা কেনো?
।
নিশিতো সেই সকালেই এসেছে স্যার। এসে আপনার মাথা ধুয়ে
দিয়েছে নাস্তা করিয়ে মেডিসিন খাইয়ে দিয়েছে তাইতো এখন আপনি
সুস্থ আছেন।
।
কি বলো এখন কয়টা বাজে?
।
২টা বাজে মহারাজ
।
কিইইইইইইইই
।
জ্বি
।
জেন্স চলে গেলো রুম থেকে
।
নিশির কোলে মাথা রেখে শুয়ে পরলাম আবার
।
গতকাল গোসল করোনি?
।
নাহ। ড্রেস change করে শুয়ে পড়েছিলামম
।
তাইতো এমন হয়েছে কেনো যে বললাম না তোমাকে গোসল
করতে সব আমার জন্য হয়েছে
।
কিচ্ছু হয়নি। আর জ্বর হওয়াতেই তো ভালো হলো তোমার কোলে
মাথা রাখতে পারলাম
।
আচ্ছা হয়েছে এখন লাঞ্চটা করে মেডিসিন খেয়ে নাও আমাকে বাসায়
যেতে হবে কোন সকালে এসেছি।
।
নিন্স : কি হলো মেম আসছেনা কেনো ওনারা?
।
অদিতি : এখনি চলে আসবে
।
আমি আর খাবোনা তুমি যাও বাসায় চিন্তা করবে আবার
।
খাবেনা মানে? আবার জ্বর আসবে তাহলে
।
জেন্স খাবারটা দিয়ে যাওতো
।
হ্যা আমি দিচ্ছি।
(এই নিশিই পারবে স্যারকে বুঝতে কি দারুন লাগছে দুইজন কে)
।
আমি খাবোনা তুমি যাওতো
।
ওকে আমি যাচ্ছি আমিও খাবোনা রাতেও খাবোনা থাকো তুমি এইভাবে
আমার কি না খেলে আমি কে যে আমার কথা শুনবে
বলেই চলে আসলাম
।
দৌড়ে গিয়ে হাতটা ধরলাম।
খাবেনা মানে?
আর কি বললে তুমি কে?
কেনো তুমি জানো না তুমি আমার কি?
।
আমি যদি কারো কিছু হতাম তাহলে আমার কথা ঠিকি শুনতে। দেখি ছাড়ো
আমি বাসায় যাবো
।
আমি খাবো চলো। বলেই কোলে তুলে নিলাম
।
এইভাবে blackmail না করলে নীলকে খাওয়ানো যাবেনা।
।
খাবো একশর্তে
।
আবার কি?
।
একসাথে লাঞ্চটা করতে হবে
।
ওকে মহারাজ এবারতো খাওয়া শুরু করেন
।
দুজনে মিলে লাঞ্চটা শেষ করলাম।
নীল এবার তুমি রেস্ট নাও আমি আসি কেমন আর ফোনটা সামনে
রেখো আমি কল দিবো কিন্তু
।
ওকে মহারানী।
যেইনা বের হতে যাবো তখনি
।
আরেই আমার ছেলেটার কি হইলো হ্যা আমাকে একবার জানানোর
প্রয়োজন মনে করলিনা বলতে বলতে রুমে ঢুকলেন নীলের মা
।
এই মেয়ে কে তুমি আমার ছেলের রুমে কি করো হ্যা?
।
আন্টি এইটা হচ্ছে আপনার ছেলের লাভার
নিশি অদিতি বলে উঠলো
।
ওহ তুমিই তাহলে এমন বানাইছো আমার নীলকে।
আমার কাছ থেকে দুরে রাখছো
।
মা তুমি কাকে কি বলছো?
।
তুই থাম
।
মা আমাকে থামিয়ে দিয়ে আরো কতো কি বলছে
।
তোমারি প্রেমে দিওয়ানা হইয়া আমার ছেলে আমাদের পর করে দিছে
।
লজ্জা লাগলো না তোমার একটা অবিবাহিত মেয়ে হইয়া একটা অবিবাহিত
ছেলের ঘরে আসতে?
।
অবশ্য তোমারি বা কি দোষ জন্মের ঠিক থাকলেই বা লজ্জা থাকবো
।
আমি হা হয়ে তাকিয়ে রইলাম কি বলছেন ওনি নীল কিছুই বলছেনা
।
আমি আর থাকতে পারলাম না কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে চলে আসলাম আমি
।
নিশি দাড়াও নিশি আমার কথা শুনো নিশি?
।
তুমি কি আমাকে শান্তি দিবানা ? কি চাও আমার কাছে?
তুমি একটা মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়েকে এই সব কথা বলতে
পারলে কিভাবে?
।
টাকার জন্য সেদিন আমাকে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলে তোমাদের
কথা শুনিনি বলে বের করে দিয়েছিলে আমাকে
আর আজ এই বাড়ি গাড়ি সব আমি করেছি আমার পরিশ্রম দিয়ে সব গড়েছি
এখন এসেছো সন্তানের দায়িত্ব ফলাতে এতোদিন কোথায় ছিলো
এইসব?
।
কি বললো ওনি এগুলো আমাকে আমার লজ্জা নেই আমার জন্মের ঠিক
নেই
।
কাঁদতে কাঁদতে বাসায় চলে আসলাম নীল বার বার ফোন দিচ্ছে আমি
ফোন বন্ধ করে দিলাম
।
এইটাইতো চেয়েছিলাম আমরা কি বলো নিন্স
।
আজ ৪দিন নিশির সাথে কোনো ভাবে যোগাযোগ করতে পারছিনা
ফোন অফ বাসা থেকে বের হচ্ছেনা বাসায় ও যেতে পারছিনা
।
কি করবো আমি
।
নাহ এইভাবে বসে থাকলে কাজ হবেনা এর রহস্য জানতে হবে
নীলের মা কিভাবে জানলো নীল অসুস্থ?
মোবাইল টা অন করলাম
সাথে সাথেই নীলের মেসেজের পাহাড় এসে জমেছে
কল দিলো রিসিভ করলাম।
।
প্লিজ জান কথা বলো
।
,,,,,,,,
।
নিশি প্লিজ কথা বলো নাহলে কিন্তু আমি বাসাত চলে আসবো।
।
,,,,,,,,
।
ওকে কথা বলতে হবেনা আমি বাসায় আসছি।
।
নাহ বাসায় আসতে হবেনা লেকের পাড়ে থাকো আমি আসছি
।
continue…..
.বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!