অদ্ভুত ভালোবাসা ! পর্ব- ১২
অদ্ভুত ভালোবাসা ( ১২)
।
গল্প বিলাসী (Nishe)
।
না বুঝতে পারার ই কথা
।
মানে কি নীল? তুমি কি প্রোভ করতে চাইছো? এইটা আমার আর
আকাশের কথা?
।
কই আমিতো তোমাকে কিছুই বললাম না আর এই আকাশ টাই বা কে?
।
আগেতো কখনো নাম শুনিনি
।
( ওহ গড এই আমি কি করলাম আকাশের নাম কেনো বললাম)
।
কি হলো চুপ করে আছো কেনো
।
কককইইই নননাতোও
কিছুনাতো
।
তোমার কেনো মনে হলো আকাশ আর তোমার কথা এইগুলা?
।
কাল সন্ধ্যায় কোথায় ছিলে তুমি?
।
মানে কী নীল তুমি আমায় সন্ধেহ করছো? তুমি তোমার অদিতিকে
সন্ধেহ করছো বলেই নেকা কান্না শুরু করে দিলো
।
ওই একদম কাঁদবে না আমি কি বলেছি? just জানতে চেয়েছি কাল সন্ধ্যায়
কোথায় ছিলে এখানে কান্নার কি আছে অদিতি?
।
( আসলেইতো আমি কেনো কাঁদছি আমার জন্যই নীল সব বুঝে
যাবে কুল ডাউন অদিতি)
।
কি হলো বলো? কোথায় ছিলে?
।
কোথাও নাতো? বাসায় এতো ছিলাম
।
রেষ্টুরেন্ট আজকাল তোমার বাড়ি হয়ে গেছে তাইনা
।
অবাক চোখে নীলের দিকে তাকালাম
।
অদিতি কি হলো চুপ করে আছো কেনো?
।
অদিতি তোমাকে আমি এই নিজের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছিলাম
আর তুমি?
।
তুমি আমাকে তার বিনিময়ে এই প্রতিদান দিলে?
।
কিহলো চুপ করে আছো কেনো? জিবাব দাও
।
Well তুমি যেহেতু সব জেনেই গেছো তাহলে আর লুকিয়ে লাভ
নেই আমি আকাশ কে ভালোবাসি
।
আর আমাকে?
।
তোমাকে (একটা তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে)
কি আছে তোমার? তুমি এখন একজন আশ্রিতা হয়ে অন্যের উপর
চেপে আছো
নিজের কিছু নেই তোমার
।
আরর আকাশকে দেখো ওর বাবা কোটিকোটি টাকার মালিক
আর
।
ওহ তোর কাছে এই টাকা পয়সাই বেশি হয়ে গেলো আর আমার
ভালোবাসা
।
ভালোবাসা দিয়ে আমি কি করবো? ভালোবাসা আমাকে কি দিবে?
।
টাকা থাকলে এমনি অনেক ভালোবাসা পাওয়া যায় যা তোমার নেই মি, নীল
।
আমি আর এই রিলেশনটা কন্টিনিউ করতে চাইছিনা
।
তোর কন্টিনিউ রাখ তোর কাছে আমার তোর সাথে কথা বলতেই আজ
রুচিতে বাধছে
।
এই লোভী মেয়েকে ভালোবেসেছিলাম আমি আমার ভাবতেই ঘৃনা
হয়
।
বলেই চলে আসলাম। খুব কষ্ট হয়েছিলো অদিতিকে ভূলতে।
সেই সময় রিয়াদ আর আংকেল আমার পাশে ছিলো আংকেল আমাকে টাকা
দিয়েছিলো ব্যবসা শুরু করার জন্য
।
আমি সেই ক্ষুদ্র ব্যবসা থেকে তিল তিল করে অনেক কষ্টের
বিনিময়ে আজ অনেক বড় ব্যবসায়ী হয়েছি বাড়িগাড়ি সব করেছি
।
আর ফিরে যাইনি সেই বাবা মায়ের কাছে
কোনো যোগাযোগ রাখিনি ওদের সাথে
।
এতোক্ষন মন দিয়ে নীলের কথা শুনছিলো নিশি কত কষ্টইই না এই
জীবনে সহ্য করেছে
।
কিন্তু নীল তোমার মা? ওনি কিভাবে এই ডিসিশন মেনে নিলেন?
।
মা? কে মা? ও আমার মা না।
।
মানে কি নীল?
।
মানে ও আমার সৎমা। আমার জন্মের ২বছর পর মা একটা এক্সিডেন্ট এ মারা
যায় তারপর বাবাএই মহিলাকে বিয়ে করেন
।
তারপর তারা আমাকে বাসায় সারভেন্ট দের কাছে দিয়ে নিজেদের মতন
করে সব কিছু করতো
।
তুমি জানো নিশি এই মহিলা কি পরিমান লোভী?
যা বলে বুঝানো যাবেনা তাকে যদি টাকা দিয়ে বলো তার স্বামী কে খুন
করতে সে তাও করতে প্রস্তুত
।
তার মানে সে তোমার আসল মা না। তাই এমন করছে
।
কিন্তু নীল ওনি কিভাবে জানলো তুমি অসুস্থ? আর ঐমেয়েটা আই মিন
অদিতি কি করে জানলো?
।
নিশি আমিও তাই ভাবছি ওরা কিভাবে বুঝলো? আর অদিতিই বা এই মহিলার সাথে
কিভাবে হাত মিলালো এই মহিলা নিজের স্বার্থ ছাড়া একপা এগুয়না কি স্বার্থ
আছে?
।
আমার মাথায় কিছু আসছেনা
।
এর মধ্যে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে নাইতো নীল?
।
আমিও তাই ভাবছি
।
আচ্ছা বেশি টেনশন নিওনা আস্তে আস্তে রহস্য উধঘাটন করতে হবে
।
নিশি আমাকে অদিতির মতো ছেড়ে যেওনা প্লিজ?
।
(অন্য একটা মহিলার জন্য কেনো আমার ভালোবাসা শেষ করে দিবো?)
আমার উপর বিশ্বাস রেখো। তারপর অনেক কথা বলেই চলে আসলাম
।
এইভাবেই চলছে দিনগুলো। আমাদের সম্পর্কটাও আগের মতো
হয়ে গেলো
।
একদিন বিকেলবেলা হঠাৎ অদিতি আমার বাসায় আসলো
।
কি ব্যাপার তুমি?
।
হুম ভিতরে আসতে দিবেনা?
।
অবশ্যই
।
দেখো নিশি আমি জানি তুমি আমার কথা বিশ্বাস করবে না তাই এই রেকর্ড টা
নিয়ে আসলাম বলেই রেকর্ড টা নিশিকে শুনতে দিলাম
।
রেকর্ডটা শুনার সময় আমার মোবাইলে রেকর্ডটা অন করে রাখলাম
।
মিস অদিতি আমি কেনো বিশ্বাস করবো এই কথা গুলো নীলের ই
কথা?
।
তুমি কি নীলের কন্ঠ টাও চিনতে পারছোনা?
।
হ্যা চিনতে পারছি আপনার কাজ শেষ হলে আপনি আসতে পারেন
।
আরেকটা কথা আমার নীলের প্রতি আমার পুর্ন বিশ্বাস আছে ঝামেলা
বাড়াতে আসলে নিজেই ঝামেলাতে পরে যাবেন
।
নিশি তুমি ভূল করছো নীল আমাকেই ভালোবাসে আর তা আমি
তোমাকে প্রমান করিয়েই ছাড়বো
বলেই হনহন করে চলে গেলো মেয়েটা
।
নীলকে এগুলো জানালে আরো ঝামেলা হবে তাই আর সে
নীলকে কিছু জানায়নি
।
এইখানেই অদিতি থেমে যায়নি অনেক ভাবে নিশিকে ব্লেকমিল করছে
নীলকে ছেড়ে চলে যেতে
কিন্তু নিশি সবকিছুকে পরোয়া করেই এগিয়ে যাচ্ছে
।
আন্টি কোনো ভাবেই নিশিকে তাড়াতে পারছিনা
।
হুম তাতো দেখতেই পাচ্ছি
।
দেখো অদিতি তুমি যদি নিশিকে নীলের কাছ থেকে সরাতে না পারো
তাহলে আমি কিছুতেই রিসার ( সেলিম সাহেবের মেয়ে) সাথে ওর
বিয়ে দিতে পারবোনা
আর না পারলে তুমিও ওই আকাশকে বিয়ে করতে পারবেনা
।
আমি যদি কোনোভাবে বিয়েটা করাতে পারি একচান্সে অনেক টাকার
মালিক
।
আন্টি আমাকে আর কিছুদিনের
সময় দিন আমি ঠিক পারবো আমাকে যে পারতেই হবে
।
তোমাকে আমি আর ভরশা করতে পারছিনা
আমাকেই কিছু করতে হবে
।
তারপর তারা দুইজনে মিলে নতুন একটা প্ল্যান তৈরি করে।
।
ওকে আন্টি এবার ঠিক হবে আমি সিয়র
আমি আসছি বাই
।
ওকে বাই।
।
এবার দেখি মি, আকাশ তুমি কিভাবে রিসাকে ভালোবাসো তুমিতো শুধু
আমার আর রিসা শুধুই নীলের
।
তারপর দিন দুপুর বেলা
।
নিশির মা আর আন্টি মিলে ওদের দেশের বাড়িতে গিয়েছে নিশির বাবার
কবর যেয়ারত করতে সন্ধা হবে আসতে আসতে
।
নিশি বাসায় একা
নিশি শুয়ে শুয়ে ফেইসবুকে নিউসফিড দেখছিলো তারি মধ্যে
নীলের কল
।
হ্যা নীল বলো।
।
নিশি সর্বনাশ হয়ে গেছে আমার সব শেষ হয়ে গেছে আমি আমি আমি
আবার আগের মতো হয়ে গেছি নিঃশ্ব হয়ে গেছি
।
নীল কি হয়েছে তুমি কোথায় আছো বলো আমাকে?
নীল?
।
নিশি প্লিজ তুমি একটু এইখানে আসো আমি কিচ্ছু ভাবতে পারছিনা একটা ঠিকানা
দিয়ে
।
নিশি দৌড়ে বেড়িয়ে পরে নীলের কাছে যাবার জন্য
।
এরই মধ্যে আন্টিরর কল
।
হ্যালো আন্টি? আন্টি?
তুমি কাদছো কেনো?
।
নিশি! আপা আপা আপা এক্সিডেন্ট করেছে
।
কি বলছো তুমি মা এক্সিডেন্ট করেছে তুমিতো সাথে ছিলা আন্টি কি
হয়েছে কোথায় তোমরা?
।
আমাকে ঠিকানা বলো আমি এক্ষনি আসছি
।
নীল কোথায় তোমার নিশি আসছে না কেনো
।
নিশি ঠিকি আসবে আমার বিশ্বাস আছে নিশির উপর
।
আরে তোমার বিশ্বাস আজ তুমি নিঃশ্ব পরিচয় দিয়েছো নিশি আর আসবেনা
তুমি দেখে নিও
।
নিশি ঠিক আসবে
।
আমি জানি নিশি তুমি ঠিকই আসবে। কারন তুমি কোনো লোভী না যে
আমার নিঃশ্বতার কথা শুনে আসবেনা।
।
।
continue….
.বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!