অদ্ভুত তিনি

অদ্ভুত তিনি !! Part- 17 (বোনাস পার্ট)

সকালে,
মেঘদের ডাইনিং টেবিলে সবাই খাবার খাচ্ছে শুধু মেঘ ছাড়া।
–আন্টি আমি বলছি কি মেঘকে খাবার পরে এই ঔষধ টা খাইয়ে দিবেন। এতে ওর বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে না৷ শরীরে বল পাবে৷
–আচ্ছা বাবা৷
ওদের কথপোকথন এর মধ্যে মেইন ডোর দিয়ে কিছু কালো পোশাক পরিধন কারি লোক প্রবেশ করে। সাবই অবাক৷
২৫ জন এমন লোক ঢোকার পর। একজন আলাদা লোক প্রবেশ করলো৷ পরনে তার সাদা সার্ট উপরে ব্রাউন কটি৷ গলার কাছে একটা চমকিয় রত্ন৷ শরীরে তার অদ্ভুত ঘ্রান৷ উজ্জ্বল তার শরীরের রং এতটাই উজ্জ্বল যে ঘরে আলো থাকতে আরো বেশি আলোকিত হয়ে গেছে। অসম্ভব সুন্দর সে যুবক আর কেউ না সয়ং আমান খান৷ আমানকে আজ পুরো নতুন লাগছে। যেন নতুন করে তার একটা জীবন সে পেয়েছে৷ আগের থেকে সৌন্দর্য তার ২× বৃদ্ধি পেয়েছে৷
আমানকে দেখে আকাশের ধাচিয়া উরে গেছে। গলায় খাবার আটকে গেছে। সে উঠতে চাইছে কিন্তু পারাছে না। সুপার গ্লু দিয়ে কে যেন তাকে আটকে রেখেছে চেয়ার এর সাথে।

আমান বুঝতে পেরে মুচকি হেসে ভেতরের কাউকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে উপরে মেঘের রুমের দিকে পা বাড়ায়।
মেঘের পরিবারের সবাই আমান আসতে অনেক খুশি রনিও। এক জনের মুখ মলিন সে হলো আকাশ৷ ও চাইছে কিন্তু উঠতে পারছে না।
.
.
সকালে ঘুম ভেঙে গেছে। আমি খুব উঠবার চেষ্টা করছি কিন্তু কিছুতেই পারছি না পানির খুব পিপাসা পেয়েছে।
হটাৎ আমার নাকে আমার আমানের শরীরের মন মতানো ঘ্রান আসতে লাগলো। রুমটা আলোকিত হয়ে গেছে। পা এর বুটের শব্দ শুনতে পারছি ক্রমস আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমি জোরে ডেকে উঠি,
-আমান৷
তিনি আমার কাছে এসে আমাকে এক গ্লাস পানি খাইয়ে আমাকে কোলে তুলে নেয়। তার বুকে স্থান পেয়ে আমার মনে হচ্ছে জান্নাতের শুখ পেয়ে গেছি আমি। তাকে ধরতে হাত উঠাতে পারলাম না অনেক ক্লান্ত যে আমি।
আমাকে হাত উঠাবার চেষ্টা করতে দেখে আমান আমাকে আরো জোরে জরিয়ে নিলো৷ আচলটা আমার মাটির সাথে গড়াগড়ি খাচ্ছে। হিম শীতল বাতাস অনুভব করছি।
আমাকে নিয়ে নিচে নেমে আসতে আম্মু সমনে দাঁড়ালেন,
–বাবা কই ছিলে তুমি। আকাশ বললো তুমি৷ ।
-মা আপনি চিন্তা করবেন না আমার কিছু হয় নি। আকাশ মিথ্যা বলেছে। একটা কথা আমার অনুপস্থিত আমার জান পাখির এতো খেয়াল রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের আর কষ্ট করতে হবে না আমি চলে এসেছি৷
এটা বলে আমান একটা ইসারা দিলো। ইসারা পেয়ে ২ জন গার্ড আকাশ আর রনিকে ধরে নিয়ে আমানের পিছু পিছু যেতে থাকে।
এতে মেঘের পরিবারের সবাই অনেক অবাক হলো।
আকাশ রনির মুখটাও বন্ধ হয়ে গেছে কিছু বলতে পারছে না। তারা। তবে বুঝতে পারছে আজ ওদের পাপের ঘরা পূর্ণ হয়েছে৷ আজ তাদের রেহায় নাই।
আমান মেঘকে নিয়ে তাদের বাসায় চলে আসে।
.
আমাকে আমাদের রুমে নিয়ে এসে আমান সুইয়ে দেয়।
আমার উপর উঁচু হয়ে উঠে আমার মুখে হাত রাখলেন। আমি তার ভালেবাসার ছোয়া পেয়ে চোখ বন্ধ করে নি৷
–কেন চলে গেছিলে মেঘ৷ একটা বার আমার কথা মনে পরে নি তোমার কতটা ভালোবাসি কোন ধরনা আছে।
–আম,

আমান আমার ঠোঁট দুটো চেপে ধরে৷
–কিছু বলো না তুমি শুধু সইতে শিখ৷ আমাদের বাচ্চার কোব ক্ষতি আমি হতে দিতে পারি না৷ কিন্তু এটা ভেব না ক্ষমা করে দিসি।
এই বলে আমার থেকে সরে আসলেন৷
–খাবার নিয়ে আসছি চুপচাপ শুয়ে থাকো৷
আমি মাথা নাড়ালাম৷
আমান চলে গেলেন৷
কিছু সময় পর খাবার নিয়ে রুমে এলেন৷
আমাকে ধের আধশোয়া করে শুইয়ে দিলেন,
–নেউ খেয়ে নেও।
আমান মাছ আর মাংস এনেছে এগুলো দেখে আমার গা গুলাচ্ছে।
–খারাপ লাগছে অন্য কিছু৷
–একটু চেষ্টা করো এগুলো না খেলে শক্তি পাবে না।
ওনার কথায় আমি একটু খেয়ে নি৷ তার পর তিনি আরও ফল মুল নিয়ে হাজির৷ ওসব না এসব তো খেতে পারি৷
খুব জোর করে আমাকে ২ টা কমলা খাইয়ে দিলেন৷
খাওয়া শেষে মুখটা মুছিয়ে দিলেন৷
–আমি,
–চলো নিয়ে যাচ্ছি।
ওহ আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম তিনি সব বুঝতে পারেন। তার মানে তিনি সব জানতেন আমাকে তার দূর্বলতা সে জানিয়েছে। আমি তার বিরুদ্ধে সরযন্ত্র করছি সে জানতো। তাও চুপচাপ সয়ে গেছে সবটা কতোটা ভালোবাসলে ভালোবাসার জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নেওয়া যায় তা আমানকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না৷ আমি কতোটা বোকা নিজের ভালোবাসাকে নিজে মেরতে চেয়েছি৷
আমাকে কোলে নিয়ে ওয়াসরুমে দিয়ে দরজার বাইরে অপেক্ষা করতে লাগলেন আমান৷ কিছু সময় পর আমি বেরিয়ে এলে পুরনরায় কোলে নিয়ে আমাকে বিছনায় শুইয়ে দিলেন।
আমার শরীরের ভেতর অস্থিরতা কাজ করছে কেমন অসম্ভব খারাপ লাগা কাজ করছে। আম্মু বলতেন এমন সময় এমন হয়। প্রয়োজন একটু খোলা হাওয়ার৷ আমান বুঝতে পারলেন। তিনি আমাকে আবার কোলে নিয়ে তার রুমের বলেকনিতে নিয়ে এলেন। এবার আর পর্দা নাই সব কিছু সরিয়ে আমাকে খোলা হাওায়া আর আলোতে নিয়ে এলেন৷ আলোর তিব্রতা এতটাই বেশি ছিলো যে আমি চোখ খিচে বন্ধ করে নি।
আমান আমাকে নিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা ওখানে দাঁড়িয়ে থেকে ভেতরে নিয়ে এলেন৷ এসে আমার মথায় হাত বুলিয়ে দিতে ঘুমিয়ে গেলাম আমি।
আমান মেঘকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে চলে এলো নিচে,
–ওদের দুটোকে হাজির করো৷
আমানের আদেশে আকাশ আর রনিকে আমানের সামনে হাজির করা হলো।
–কি ভেবেছিলি আকাশ আমাকে মেরে ফেলেছিস৷
–জ..আ…ক্ষমা করে দিন। এবারের মতো যেতে দিন আর জীবনে আপনার সামনে আসবো না।
–ক্ষমা করতাম জদি ব্যাপারটা শুধু আমাকে মারা পর্যন্ত শিমা বদ্ধ থাকতো তুই আমার জান পাখিকে আমার কাছ থেকে আলাদা করতে চাইছিস। আমার বাচ্চা ্কে মারতে চাইছিস তোকে আমি কুকুরের মার মারবো একটু একটু করে শেষ করবো।
.ওদের নিয়ে যাও অন্ধকার রুমে আটকে রাখ। আমার সান্ত্বনা ভুপৃষ্ঠ হলে সেই দিন ওদের মারবো৷ তত দিন ওই অন্ধকার রুমে বন্ধ থাকবে।
বলে আমান চলে আসে রুমে, ।

রুমে এসে তার জান পাখির ঘুমন্ত মায়াবী মুখটা দোখে ঠোঁটে হাসি ফুটে ওঠে।
আস্তে আস্তে মেঘের কাছে এগিয়ে আসে৷ মেঘের মাথায় হাত রেখতে মনে পরে যায় মেঘের করা কাজ গুলোর কথা।
আমানের চোখ মুখ শক্ত করে বলে,
–এতো সহজে তোমাকে মাফ করে দিতে পারবো না। তোমাকেও আমার মতো কষ্ট পেতে হবে কিন্তু এখন না৷ আমার সন্তান কে আসতে দেও আগে৷
কথা গুলো বলে আমান সরে আসে,
.
.
পরের দিন সকালে৷ ,
ফজরের আজানে ঘুম ভাঙতে দেখি আমান পাশে শুয়ে আছে হাতটা ঠিক আমার পেটের মাঝ বরাবর। তাকে দেখে আনন্দ লাগছে খুব৷ গত ২০ টা দিন কি করে কাটিয়েছি আমি তা আমি জানি৷ সব ভেবে একটা বড়ো নিশ্বাস ছেড়ে উঠতে যাবো তখন,
চলবে,
🌼