অজানা সম্পর্ক

অজানা সম্পর্ক !! Part- 02

আয়ানকে নিয়ে হসপিটালের ক্যাফেতে বসে আছি।ওকে একটা জুস আর বার্গার আর নিজের জন্য এক কাপ কফি নিয়েছি।।
পৃথাঃআয়ান তুমি এখানে কার সাথে এসেছ?
আয়ানঃ(বার্গারটা নাড়াচড়া করতে ব্যস্ত ছিল)পাপ্পাল সাতে।।।
পৃথাঃতো তোমার পাপ্পা কোথায়?
আয়ানঃপাপ্পা তো কেবিনে। আমি পাপ্পাকে না বলেই চুপিচুপি বেল হইতি(বলেই মুখে হাত দিয়ে হাসি দেয়)
পৃথাঃএসব কি আয়ান? নিশ্চয়ই তোমাকে সে খুঁজছে।।একদম ভালো কর নি।।
এসব বলতে না বলতেই আয়ান কাকে দেখে যেন পাপ্পা বলে ডাক দিয়ে দৌড় দিল।। আমি পিছনে ফিরে তো অবাক।।।এ আমি কাকে দেখছি..হঠাৎ মুখ থেকে একটা নাম বের হল…..
আকাশ…আমার অতীত।।আমার ভালোবাসা।। আয়ান আকাশের ছেলে।। ও আমাকে ভুলে সুখের সংসার করছে।।বউ বাচ্চা নিয়ে আছে।।। এসব তো আমার ছিল।।তাহলে কেন আমার কপালে সইল না।। কেন?হঠাৎ ভাবনয় ছেদ পড়ল আকাশের কথায়…..
আকাশঃআয়ান কই ছিলে? কতক্ষণ খুঁজেছি।। এত বেড়েছ কেন হ্যা? তোমাকে বলেছি না আমার সাথে থাকবে????(রেগে)
আয়ানঃ(আকাশ জড়িয়ে কেঁদে দিয়ে)পাপ্পা তলি।।আমি তো এততু বেল হয়ে তিলাম।।তরি তরি তরি(কান ধরে)
আকাশ ও হাঁটু গেড়ে বলল,
আকাশঃpapa is also sorry..আমারই উচিত হয়নি তোমাকে রাগ করার।।তুমি তো রাগ করলেই কান্না করে দেও।।বাবা নেক্সট টাইম এমন করবে না ঠিক আছে? আমি কত ভয় পেয়ে গেছিলাম জানো?তো তুমি এখানে কেন? are u Hungry ayan? তো আমাকে বলতে আমি নিয়ে আসতাম।।চল কি খাবে?
আয়ানঃআমি তো মাম্মাল সাতে আততি।।মাম্মাম আমাকে বার্গাল আল জুস কিনে দিয়েছে।।মাম্মাম ওই তানে।।তল তল।।মাম্মাম কে আততে আমি নিয়েই যাব।।
আকাশঃমাম্মাম? তুমি মাম্মামকে কোথায় দেখছ? সকালেও বললে মাম্মামকে দেখেছ?
আয়ানঃওই দেখ..
পিছনে ফিরে দেখে কেউ নেই।। পৃথা আগেই চলে গেছে।। সে আকাশের সম্মুখীন হতে চায় না৷ ।। কেন হবে? সে তো ভালোই আছে বউ বাচ্চা নিয়ে…আয়ান পৃথা কে না দেখে ওদিক টায় দৌড় দেয়..চিৎকার করে কান্না করে দেয়..
আয়ানঃমাম্মাম।। মাম্মাম। কোতায় তুমি? বেল হও। দেক তোমাল বাবু কাননা কলছে।।।
ফ্লোরে পা মেলে বসে কান্না করতে থাকে…
আকাশ তা দেখে দৌড়ে আসে আর আয়ানকে কোলে নেয়..
আকাশঃনা বাবা।।কান্না করে না।।তোমার মাম্মাম এখানে নেই বাবাই।।তুমি ভুল ভাবছ।।
আয়ানঃনাহহহহ।।মাম্মাম তিল।।আমি আমাল মাম্মাম কে তিনব না।। আমাল মাম্মাম তিল।।আমাতে না নিয়ে তলে গেতে।।পাপ্পা মাম্মাম কি আমাতে like কলে না? আমি তি পতা বাবু?
আকাশঃ(আয়ানকে জড়িয়ে..নাহ বাবু তুমি পঁচা না।।তুমি অনেক ভালো বাবু।। তোমার মাম্মাম তোমাকে অনেকককককক ভালোবাসে।।আজকে না আসলেও দেখবে ঠিকই তোমার কাছে চলে আসবে…চল বাসায় যাই।।।কান্না করে না বাবাই….



আকাশ আয়ানকে নিয়ে ওর বাড়িতে চলে যায়।।আকাশের বাসায় ওর বাবা আর আায়ান।।।তিনজনের সংসার।।।আকাশ বাসায় এসে কাজের লোককে আয়ানের জন্য খাবার বানাতে বলে।।আয়ানকে খাইয়ে ঘুম পারায়।। আয়ান অনেক কান্না কাটি করে ঘুমিয়ে পড়ে।।।


আকাশ নিচে এসে সোফায় ওর বাবার পাশে বসে।।
মিঃ জামালঃ আকাশ তোকে চিন্তিত লাগছে কেন???
আকাশঃআয়ান নাকি আজ ওর মাম্মাম কে দেখেছে।।তাই অনেক কান্নাকাটি করেছে।। তুমি তো জান এটা কিভাবে সম্ভব
মিঃজামালঃসকালেও একি কথা বলল।। আকাশ তোকে বলি কি একটা বিয়ে কর।।আয়ানের মায়ের প্রয়োজন। মা পেলে বাচ্চাটা একটা সুন্দর জীবন পাবে।।
আকাশঃবাবা কতবার বলব আমি আর বিয়ে করব না।।।আর কত? আয়ানকে আমি সুন্দর জীবন দেব।।আমি ছাড়া ওর কারও প্রয়োজন নেই।।না কোনো নতুন মায়ের।।আয়ানের মা লাগবে না । আর না আমার স্ত্রী।।(বলেই উপরে চলে গেল)
আকাশের বাবা ছেলের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।। কত সুন্দর জীবন ছিল।।কত সুখের সংসার ছিল ছেলের।।
.
.
.
আকাশ নিজের রুমে গিয়ে আলমারি থেকে একটা অ্যালবাম বের করল।।ওর আর পৃথার ছবিতে ভরা।।কি সুন্দর হাসি পৃথার।।ভালোই তো ছিল ওরা।।। কত খুনসুটি ভরা দিন ছিল ওদের।।কেন সইল না এসব ওদের কপালে।।হঠাৎ আকাশ কেদে ওঠে।।
আকাশঃমাফ করে দিও পৃথা।।যখন তোমার আমাকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল আমি তখন তোমার কাছে ছিলাম না।। মৃত সন্তানটার মুখও দেখলাম না৷ আমি বড়ই সার্থপর হয়ে গেছিলাম।।।কত কাঁদলে তুমি তবুও তোমার পাশে যাইনি।।।কত নির্দয়ের মত আমি তোমাকে ডিভোর্স পেপারটা দিয়ে দিলাম সাথে বিয়ের কার্ড।।। তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি।। কখনও সাহস হয়নি তোমার সামনে গিয়ে ক্ষমা চাওয়ার।।আমার একটা ভুলের মাশুল আমাদের সংসারটাকে শেষ করে দিল।।। দেখ এখন আমি আমার পাপের শাস্তি পাচ্ছি আমার আয়ানটা সারাদিন ওর ময়ের জন্য কাঁদে।। ও তো জন্মের পর থেকেই মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত।।। আমার ভুলের ফল আমার ছেলে পাচ্ছে।।।
আকাশ চোখের জল মুছে অ্যালবামটা আলমারি তে রেখে আয়ানের পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ল……..
পৃথা হসপিটাল থেকে রাজের সাথে দেখা না করেই বাসায় চলে আসে।।রাজ অনেক ফোন দেয় কিন্তু পৃথা ধরে না।।বাসায় এসে রুম অফ করে কান্না করতে থাকে।। নিজের চুল টানাটানি করে।।চিল্লিয়ে বলতে থাকে..
পৃথাঃকেন আকাশ কেন?খুব কি জরুরি ছিল? আমি কি পুরনো হয়ে গেছিলাম? কেন ছেড়ে চলে গেলে? আমার বাবুটাও চলে গেল ফাকি দিয়ে।।কেউ নাই আমার।। আর তুমি? তুমি তো খুব সুখে আছ।।বউ বাচ্চা নিয়ে।।আমার দিকে ত ফিরে তাকানোর সময় নেই তোমার।। ওকে ফাইন আমিও মুভ অন করব।।
রাজকে ফোন দিলাম..
পৃথাঃহ্যালো রাজ।একটা কথা ছিল…
রাজঃএসব কি পৃথা।।তুই জানিস আমি কত চিন্তিত ছিলাম।।না দেখা করে চলে এলি আর ফোন দেয়ায় ধরলি না।।এত বাচ্চামি কেন সবসময়?(রেগে)
পৃথাঃ সরি।।হঠাৎ কাজ মনে পরল তাই চলে এলাম আর ফোন সাইলেন্টে ছিল(সরি তোকে মিথ্যে বলায় কারণ এখন তোকে সত্যি তা বলব না যে আকাশ আবার চলে এসেছে আমাদের জীবনে)সরি ইয়ার রাগ করিস না।।প্লিজ প্লিজ।।
রাজঃতুম জানিস আমি তোর উপর রাগ করে থাকতে পারিনা।।সরি এক্সেপ্টেড।।(হেঁসে)
পৃথাঃশোন।।আমি আমার মেডিকেল স্টাডি কম্পলিট করব।।তাই কাল আমার সাথে যাবি ডকুমেন্টস নিয়ে।।
রাজঃওয়াও পৃথা তুই আবার স্টাডি করবি।।কত বার আন্টি আমি বললাম শুনলি না।।ইটস আ গুড নিউজ।।ওকে কাল যাব তোর সাথে।।
পৃথাঃআগে ভাবিনি এসব বাট এখন ভাবব।।নিজের জন্য কিছু করতে হবে।।কতদিন মায়ের কষ্ট বাড়াব।।
রাজঃএই পৃথা শোননা. কালকে দুপুরে এক পার্টি আছে আমাদের হসপিটালের নতুন owner আসছে।।তার পার্টি।। তুই যাবি আমার সাথে।।আমার সাথে স্যারের এখনও দেখা হয়নি।।কালকে যাব তার বাংলোতে।। তোকেও যেতে হবে আমার সাথে।।
পৃথাঃওকে দেখা যাবে আগে আমার কাজ কমপ্লিট করতে হবে।
রাজঃআচ্ছা বাবা তোর কাজ কমপ্লিট করেই যাব।।এখন রেস্ট নে।।কাল সকালে তোকে নিতে আসব।।
পৃথাঃওকে বায়।।।
কাল থেকে এক নতুন লাইফ শুরু করব যেখানে আকাশের ছায়াও থাকবে না।।না থাকবে ওর ওয়াইফ ডায়না না ওর ছেলে আয়ান।।আয়ান আকাশের ছেলে জানার পর পৃথা আর আয়ানকে নিয়ে ভাবতে চায়না।।।কেন ভাববে আয়ান তো আর পৃথার বাচ্চা না। সে তো আকাশ আর ডায়নার ছেলে।।এসব ভাবতেই পৃথার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ল।।আজ তো এমন একটা ফুটফুটে বাচ্চা পৃথার হওয়ার কথা ছিল।এমন মাম্মাম বলা তো পৃথার বাচ্চার কথা ছিল।।ভাগ্য এমন হতে পারত না যে আয়ান পৃথার আর আকাশের ছেলে।।কিন্ত না বাস্তবতা ভিন্ন।।পৃথা এসব ভাবতে ভাবতে যেন ছন্নছাড়া হয়ে পড়ছে।নাহ আর ভাববে না এসব।।
মায়ের সাথে রাতের খাবার খেয়ে পৃথা শুয়ে পড়ল।।পৃথার বাবা নেই।।মারা গেছেন দুই বছর আগেই।।পৃথা আর ওর মা থাকে।।ঘুমিয়ে পড়ল।।



🍀
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেয়ে রেডি হওয়া শুরু করল।।রাজ বলেছে পার্টি আছে তাই রেডি হয়ে হসপিটালে যাবে।অনেকদিন সাজে না আজকে যখন নতুন লাইফ শুরু হবে তাই হালকা সাজ দিবে।। এক জামদানী শাড়ি পড়লো চুল ছেড়ে কাজল আর
হালকা লিপস্টিক দিল।।আর কিছু দেওয়ার মন নেই।।হঠাৎ গাড়ির হর্ন বাজলো তাই ও মার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিচে নামল।।রাজ তো পৃথাকে দেখে আরেক দফা প্রেমে পরল।।
রাজঃআরে এ আমি কাকে দেখছি? পৃথাই তো নাকি?বাহ্ কতদিন পর সাজল মহারানী।। ওয়েট ওয়েট মহারানী কষ্ট করবে কেন তার বান্দা হাজির হে উনকে খিদমত মে।।(বুকে হাত দিয়ে কুর্নিশ করে)
পৃথা হেসে দিল।।
পৃথাঃবেশি বেশি না সব কিছুতে।।তুই তো বললি আজ নাকি পার্টি তাই একটু সাজলাম আরকি।।
রাজঃঅনেক সুন্দর লাগছে তোকে।।কতদিন পর এমন হাসিখুশি।। সবসময় থাকিস এমন।।
পৃথাঃহয়েছে।।চল এখন।।অনেক কাজ।।

দুজনে হসপিটালে গিয়ে পৃথার পুনঃ ভর্তি করল।।যে পর্যন্ত পড়াশোনা অফ করেছিল তার পর থেকেই আবার শুরু করবে।। সব ফর্মালিটি শেষ করে ওরা পার্টির জন্য বের হল।।রাজের গাড়ি এক বাংলোর সামনে থামল।।
পৃথাঃসুন্দর তো বাংলো টা।।ওনার নিজের বাড়িতে হবে ফাংশন?
রাজঃহ্যা।চল ভিতরে যাই।।স্যারকে দেখার অনেক ইচ্ছা শুনলাম অনেক ট্যালেন্টেড।।আর উনি নাকি আমাদের সিনিয়র ছিল।।চার বছর আগে ফ্যামিলি নিয়ে লন্ডন চলে যায়।। কিছুদিন হল এখানে এসে এই বাংলো কিনেছে এখন ফ্যামিলি নিয়ে এখানেই থাকে।।চল যাওয়া যাক।।
পৃথাঃচল।।



পৃথা আর রাজ ভিতরে এসে দেখে হসপিটালের অনেকেই এসেছে।।রাজ পৃথাকে নিয়ে তাদের ওদিকটায় চলে গেল।।সবাই যার যার মত পার্টি ইনজয় করছে।।কিন্ত যাদের পার্টি সেই নেই।।রাজকে একজন ডাক দিল।।রাজ পৃথাকে এক জায়গায় বসতে দিয়ে তাদের কাছে গেল।।পৃথা নিজরের মতো ঘুরে ঘুরে সব দেখছে হঠাৎ পরিচিত সেই ডাক শুনতে পেল.. প..পৃ..পৃথা তুমি এখানে?
পৃথা পিছনে ফিরে দেখে আকাশ।।কতদিন পর সেই পরিচিত মুখ।।বুকের ভিতরে তোলপাড় শুরু হয়ে গেল।।সব ভুলে সামনে এগোনোর চেষ্টা করছিল আবার কেন সে ফিরে এল।।চারটা বছর তো একাই ছিল এখন কেন আবার আসল..এসব ভাবতে ভাবতে ধ্যান ভাঙল আকাশের কথায়…
আকাশঃকেমন আছো?(নজর এড়িয়ে)
পৃথাঃ(নিজেকে সামলিয়ে)তা তোমার না জানলেও চলবে।।তবে তুমি তো ভালোই আছো নিশ্চয়ই বউ বাচ্চা নিয়ে (তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে)তো তুমি এখানে কেন?
আকাশঃআমার দেয়া পার্টি। এটা আামার বাড়ি।।কিন্তু তুমি জানলে কিভাবে আমার বাচ্চা আছে?(অবাক হয়ে)
পৃথা ঃ এটা না জানার কি আছে?বিয়ে যখন করেছ তখন বাচ্চা তো থাকারই কথা।।সবার তো আর আমার মতো বাচ্চা মারা যায় না(অনেক কষ্টে)আর আপনার পার্টি জানলে কখনও আসতাম না মি.আকাশ।। চলে যাচ্ছি।।
আকাশঃ(কথাটা যেন বুকে গিয়ে লাগল)নাহ।।সেটা বলতেই চাইনি।।আসছ যখন থেকে যাও।। বাবার সাথে দেখা করে যাও।।
পৃথা আকাশের কথা পাত্তা না দিয়ে চলে আসা ধরলে হঠাৎ আঁচলে টান অনুভব করে।।পৃথা ভাবে আকাশ তাই ও আঁচল টা পিছনে না তাকিয়েই জোড়ে টান দিয়েই বলে..
পৃথাঃDon’t you dare..এত সাহস।।
পিছনে তাকিয়ে দেখে আয়ান নিচে পরে গেছে।।না দেখে আঁচল টান দেয়ায় আয়ান টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায়।।পৃথা আয়ানকে উঠাতে যেয়েও থেমে যায় আকাশকে দেখে।।আকাশ দৌড়ে আয়ানকে উঠায়..
আকাশঃবাবা ঠিক আছো তোমার লাগেনি।। দেখি দেখি।।
আয়ান আকাশকে ছাড়িয়ে পৃথার কাছে যায়..
আয়ানঃমাম্মাম।তুমি এতেত।।আমি জানতাম তুমি আমাল কাতে আতবা।।দেক আমি ব্যাথা পাইতি।।তুমি এততু আদল কলে দেও না।।(কেঁদে চোখ লাল করে)
আমাকে জড়িয়ে ধরা ধরলে পিছিয়ে যায়।।নাহ আয়ানের সাথে আর কোনো সম্পর্কে জড়াব না।।আমি তো ওর মা নই।।আকাশের আর ডায়নার ছেলে।। নিজেকে শক্ত করে অনেক কষ্টে বললাম…
পৃথাঃএই ছেলে কে তোর মা? যাকে তাকে মা মা বলে।।কাল থেকে দেখছি মাম্মাম মাম্মাম করছিস।।আমি তোর মা নই।।তোর মার কাছে যা আমাকে কেন জ্বালাছিস।।
পৃথার কথায় আয়ানের চোখ মুখ লাল হয়ে আসছে যেন এখনই চোখের সব পানি ঝরবে..
আয়ান হঠাৎ………



চলবে..🧐

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *