অজানা কারণ

অজানা কারণ !! Part- 04

জয়ার লাশ এভাবে পড়ে থাকতে দেখে আমি পুরোই ‘থ’ হয়ে গেলাম।দেখে মনে হচ্ছে বেশ কিছুক্ষণ আগেই জয়া কে খুন করা হয়েছে।
কিন্তু খুন টা করবে কে? এ বাসায় তো আমি ছাড়া আর কেউ নেই। তবে কি আমি খুন করেছি?
কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? ঘুমের মাঝে কি আবার কাউকে খুন করা যায় নাকি!

তবে কি আমি সকালে ঘটে যাওয়া যা কিছু স্বপ্ন ভাবছিলাম সেগুলোই সত্যি? কিন্তু কোন স্বপ্ন কিভাবে সত্যি হয়ে যেতে পারে?
যাই হোক এখন সত্যি মিথ্যা ভাবার সময় নেই। এই মুহূর্তে যদি কেউ কোন ভাবে চলে আসে, তাহলে সে নির্ঘাত আমাকেই জয়ার খুনি মনে করবে। কারণ এই মুহুর্তে বাসায় আমি ছাড়া একটা মানুষও নেই। তাই যত দ্রুত সম্ভব জয়ার লাশটাকে গায়েব করতে হবে।

যেই ভাবা সেই কাজ। আমি জয়ার লাশটাকে কাপড় দিয়ে বেঁধে টানতে টানতে বাড়ির পিছনে ম্যানহোলের কাছে নিয়ে গেলাম। আশেপাশে ভালো করে দৃষ্টি বুলিয়ে ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে জয়াকে ভিতরে ফেলে দিলাম। মনে হচ্ছে না এত রাতে কেউ এই দৃশ্য দেখে থাকবে। তাই কোন শব্দ না করে সন্তর্পনে ঘরে চলে আসলাম। ভেতরে ভেতরে যদিও কিছুটা অনুতাপ হচ্ছে, তবুও খানিকটা স্বস্তিও লাগছে। জেলখানায় পঁচে মরতে কার ইচ্ছে করে? তাছাড়াও একজন নির্দোষ মানুষ হয়ে।

আমি ১০০ ভাগ বিশ্বাসের সাথে বলতে পারি আমি জয়াকে খুন করিনি। কিন্তু আমার এ কথা ১০০ ভাগ বিশ্বাস করবে কে?১০০ ভাগের কথা না হয় বাদই দিলাম ,১০ ভাগও তো বিশ্বাস করবে না। তবে যাই হোক এতক্ষণে লাশ গায়েবের চক্করে পড়ে আমার পেটের ক্ষুধা উধাও হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এবার একটু শুয়ে রেস্ট করাই ভালো। যদিও টেনসনে আর ঘুম আসবে না।

বেডরুমে এসে দেখি বাহির থেকে দমকা হাওয়া এসে, পুরো রুমটা এলোমেলো করে দিয়েছে। কিন্তু ভেতর থেকে তো জানালা বন্ধ ছিল। কি যে হচ্ছে এই বাড়িটাতে আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা। ২৪ ঘন্টা একটা না একটা কিছু ঘটেই যাচ্ছে। বাড়ির মানুষটার মত বাড়ীটাও হয়তো অদ্ভুত!

মাথা থেকে কিছুতেই জয়ার খুনের বিষয়টা সরাতে পারছি না। ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ড রকমের ভয় হচ্ছে!
আর সাথে সাথে হার্ট বিটের মিউজিক টাও শুনতে পাচ্ছি। দুই হাত দিয়ে মাথা শক্ত করে চেপে ধরে অনেকক্ষণ যাবৎ ঘুমানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছুতেই দুচোখের পাতা এক হচ্ছে না। এত কিসের অস্থিরতা আমার? আমি তো কোন অন্যায় করিনি।

হঠাৎ আমার মাথায় এলো মিনহাজের সম্পর্কে আমার জানা উচিত। উনি আসলে একজন মানুষ হিসেবে কেমন আমি তো সেটাও জানি না। বিছানা থেকে উঠেই আমি ড্রয়ার, আলমারির চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মিনহাজের ফাইল, কাগজপত্র ঘাটতে শুরু করলাম।

কিন্তু এসব কিছুতে ওনার সম্পর্কে ভালো ছাড়া সেরকম মন্দ কিছুই নেই। স্টুডেন্ট হিসেবে উনি অনেক ভালো। আরে একজন ডক্টর হিসেবে তো কোন কথাই নেই!আমি যদি উনার ব্যাপারে কোন কিছু কমপ্লেইন করতে চাই ,তাহলে কেউ আমার কথা বিশ্বাস করবে না। কারণ উনি সবার দৃষ্টিতে এতটাই ভাল!

কিন্তু উনি আমার সাথে কেন এরকম করেন? কি ক্ষতি করেছি আমি উনার? আমার প্রতি উনার এত রাগ ,এত ক্ষোভ, এত ঘৃণা কিভাবে জন্মালো? উনি আমার সাথে অন্যায় করার আগে না উনাকে আমি চিনতাম ,আর না উনি আমাকে চিনতেন। তাহলে উনি আমার সাথে এত অন্যায় ,এত খারাপ ব্যবহার কেন করছেন?

আচ্ছা আমার কথা না হয় বাদই দিলাম। কিন্তু জয়া?
এই মেয়েটি কি অন্যায় করেছে উনার সাথে? উনার মেয়েদের প্রতি এত কিসের রাগ? যে কারণে উনি নির্দ্বিধায় একটা মেয়েকে খুন পর্যন্ত,,,,,
কিন্তু মিনহাজের পক্ষে খুন করা কিভাবে সম্ভব? মা বললেন উনি কুষ্টিয়া গেছেন।
এত দূরের পথ একদিনে গিয়ে কোনোভাবেই একদিনে ফিরে আসা সম্ভব নয়। তবে উনি যদি কুষ্টিয়া থাকেন, তাহলে আর কে আছে যে জয়া কে খুন করতে পারে?

প্রচন্ড রকম যন্ত্রণায় আমার মাথা ভোঁ ভোঁ করে উঠলো। আর কিছু ভাবতে পারছিনা।মিনহাজের ফাইলপত্র এলোমেলো করে ছড়িয়ে রেখে বিছানায় শুয়ে পরলাম।অদ্ভুত ব্যাপার হলো !
মানুষ চিন্তার বোঝা নিয়ে ঘুমোতে পারে না ।কিন্তু আমি শুয়ে পড়া মাত্রই ঘুমিয়ে গেলাম। প্রায় মধ্যরাতে মেইন গেটে কারো এলোপাথাড়ি আঘাতে আমার ঘুম ভেঙে গেল।

আমি লাফ দিয়ে উঠে বসলাম।
_ওমা তিনটা বাজতে চলেছে! কিন্তু এত রাতে কে আসতে পারে? তাছাড়াও ডোরবেল না চেপে এভাবে করাঘাত কেন করছে? আমার দরজা খুলতে বিলম্ব হওয়ার কারণে করাঘাতের শব্দ ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
আমি অধৈর্য হয়ে উঠলাম। বাহিরে প্রচুর ঝড় হচ্ছে।
এত রাতে কে আসতে পারে এটা কিন্তু সত্যি ভাবার বিষয়।

৯০°ডিগ্রির উপর মেজাজ নিয়ে দরজাটা খুলে দিলাম। দরজা খুলে আমি নির্বাক হয়ে গেলাম।মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে রইলাম। এমনকি নড়াচড়া করার মতো শক্তিটাও হারিয়ে ফেললাম।

মিনহাজ একটা নীল রঙের টি-শার্ট পড়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাহিরে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টির কারণে শরীর, কাপড়, মাথার চুল সব কিছু ভিজে চুপ চুপ হয়ে গেছে।বৃষ্টিভেজা আর্দ্রতায় মিনহাজের চশমা ঝাপসা হয়ে গেছে।
আমি মিনহাজের পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভাল করে নিরীক্ষণ করছি। কিন্তু মিনহাজের ডানহাত অব্দি আসামাত্রই আমার দৃষ্টি আটকে গেল।

সকালে যে রকম ছুরি হাতে দেখেছিলাম মিনহাজ কে, ঠিক একই রকমভাবে মিনহাজ ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে আছে।মিনহাজের শরীরে থাকা বৃষ্টির পানি আর ছুরির রক্ত, দুটো একসাথে মিলেমিশে টুপ টুপ করে নিচে পড়ছে।

মিনহাজ দরজার কপাট ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিল। কিন্তু আমি আগের মতোই দাঁড়িয়ে রইলাম। আমার এখনো বোধগম্য হচ্ছে না এটা কি স্বপ্ন না বাস্তব? মিনহাজ হাতের ছুরিটা খাবার টেবিলের উপর রেখে বেড রুমের দিকে চলে গেল।
আমার ভেতরে প্রচণ্ড রকমের ভয়ের সঞ্চার হচ্ছে।

ঠিক দশ মিনিট বাদে মিনহাজ খাবার টেবিলের কাছে এসে আমার পাশের চেয়ারটায় বসে পড়ল। আমি একটাও কথা বলছি না। যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিলাম , ঠিক সেভাবেই দাঁড়িয়ে আছি। মিনহাজ গম্ভীর ভাবে বসে ছুরিটা নেড়ে চেড়ে দেখছিল।

আমি সাহস করে আগ বাড়িয়ে বললাম,
_আচ্ছা আপনার তো কুষ্টিয়া থাকার কথা। আপনি এখানে কেন? নাকি আপনি কুষ্টিয়াতে যাননি? আপনার ব্যাপার স্যাপার আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা।

মিনহাজ ছুরিটা শব্দ করে টেবিলের উপর রেখে আমার দিকে ঘুরে তাকালো। তারপর কিছু সময় দম নিয়ে বলল,
_হ্যাঁ আমি কুষ্টিয়া তে যাইনি। কারণ যদি কুষ্টিয়াতে চলে যেতাম তাহলে তোর ভাইকে খুন করতে পারতাম না।

মিনহাজের কথা শুনে আমি আঁতকে উঠলাম। তোতলাতে তোতলাতে বললাম,
_মানে আপনি এসব কি বলছেন? আপনার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? আমার ভাইকে আপনি খুন করেছেন মানে?

মিনহাজ এবার অট্টহাসিতে ফেটে পরলো। এত বেশি হাসছিল যে, কথাই বলতে পারছিল না। দীর্ঘ সময় হাসার পর, মিনহাজ আমার অনেকটা কাছে এগিয়ে এসে বলল,

_হ্যাঁ আমি তোর ভাইকে খুন করে ফেলেছি। তোর ভাইকে খুন করে ফেলেছি। এইযে দেখ! ছুরিটায় যে রক্ত লেগে আছে না? এটা তোর ভাইয়ের রক্ত। তোর ভাই এখন ওপারে চলে গেছে।

এসব বলতে বলতে মিনহাজ হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে লাগল। আমি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম। এসব কি হচ্ছে আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা।এই মুহূর্তে সান্তনা দেওয়ার মতোও কেউ নেই আমার পাশে। মিনহাজ কেন এসব করছে এই প্রশ্নটাই আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।

মিনহাজের এত সব অন্যায় আজ আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে দিল। ওর শার্টের কলার ধরে টেনে দাঁড় করিয়ে বললাম,
_কি মনে করেন আপনি নিজেকে? আপনি আপনার মা আপনার পরিবারের সবাই মিলে আমাকে ঠঁকাচ্ছেন। আপনার মা বলেছেন আপনি কুষ্টিয়াতে। কিন্তু না আপনি তো ঢাকাতেই। আর আমি এটাও জানি জয়াকে আপনিই খুন করেছেন। কেন এসব করছেন আপনারা?
আমি ,আমার ভাই ,জয়া কি ক্ষতি করেছি আমরা আপনার?

-অনেক অন্যায় হয়েছে। আমি আর সহ্য করব না। এবার আমি পুলিশে কমপ্লেন করব। আপনি আপনার পরিবার সবাই খুনি ,এ কথা আমি পুলিশকে বলে দিব।
আমি পুলিশ ইস্টেশন যাওয়ার উদ্দেশ্যে দরজার দিকে দৌড়ে যেতে নিলাম। কিন্তু তার আগেই মিনহাজ আমার হাত শক্ত করে ধরে ওর হাতে থাকা ছুরিটা আমার পেট বরাবর গেঁথে দিল।

ব্যাস এর পর আমার কিছুই মনে নেই। সকালে নিজেকে লিভিং রুমের সোফায় আবিষ্কার করলাম। তারমানে আমি রাতে সোফাতেই ঘুমিয়ে ছিলাম। সবথেকে বড় কথা রাতে ঘটে যাওয়া কোনো কিছুই আমার মনে নেই। জয়ার লাশ ম্যানহোলে ফেলে দেওয়া ছাড়া বাকি সবকিছু আমার কাছে দুঃস্বপ্ন বলেই মনে হচ্ছে।

যাহোক চাঁন করে একেবারে ফ্রেস হয়ে ,কিছুটা হালকা-পাতলা নাস্তা করে নিলাম। শুয়ে বসে থাকা ছাড়া আমার কোন কাজ নেই। যেহেতু বাসায় আমি একা, তাই রান্নার প্রতিও তেমন কোনো আগ্রহ নেই।
হঠাৎ আমার মনে হলো দেশে করোনাভাইরাস নিয়ে খুব ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে!

মনে হচ্ছে দরজার বাহিরেই নিউজ পেপার টা রয়েছে। বেকার বসে না থেকে একটু দেশের খবর নেওয়াটাই ভালো হবে। যেই ভাবা সেই কাজ ।আমি দরজা খুলে নিউজ পেপার টা হাতে নিলাম। পেপার নিয়ে যখন আমি দরজা বন্ধ করতে নিলাম , ঠিক তখন আমার চোখ পড়লো দরজার বাহিরের মেঝেতে।

বিন্দু বিন্দু রক্তের ফুঁটো শুকিয়ে মেঝের সাথে লেগে আছে। আমি নখ দিয়ে খুঁটে খুঁটে শুঁকে নিলাম। হ্যাঁ এটা তো রক্ত। কিন্তু এখানে এভাবে রক্ত কোথা থেকে এলো? হঠাৎ আমার মনে পড়ে গেল গত রাতের ঘটনা!
মিনহাজ দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। আর ওর হাতে থাকা ছুরি থেকে টুপ টুপ করে রক্ত পড়ছিল। তবে কি,,,?

আমি দরজা বন্ধ করে দ্রুত বেডরুমের দিকে দৌড় আসলাম। ভয়ে আমার শরীরে কাঁপুনি উঠে গেছে। এক্ষুনি শাশুড়ি মা কে কল করা উচিত। আমি আর দেড়ি না করে মায়ের কাছে কল করলাম।

_হ্যালো মা!
আপনারা সবাই ঠিক আছেন?

শাশুড়ি মা খুব উচ্ছ্বাস নিয়ে বললেন,
_হ্যাঁ মা আমরা সবাই ঠিক আছি। আর খুব ভালোও আছি। তুমি ঠিক আছো তো?

আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,
_না মানে। হ্যাঁ মা আমি ঠিক আছি। মা উনি কোথায়? ওনাকে একটু দেওয়া যাবে?

শাশুড়ি মা একটু আপত্তিকর গলায় বললেন,
_না এখন তো আমি ওকে দিতে পারব না। আসলে অনেকদিন পরে গ্রামে এসেছে তো ,তাই কাজিনদের সাথে মজা করতে নদীর পারে চলে গেছে।
তুমি এক কাজ করো ওর ফোনে কল করে কথা বলে নাও!

আমি মায়ের সাথে আর কোন কথা না বাড়িয়ে ফোন রেখে দিলাম। একটু স্বস্তি লাগছে এটা ভেবে যে, মিনহাজ কুষ্টিয়াতেই আছে। হতেই পারে বাহিরে কেউ বাজার করে এসেছে। সেখান থেকেই রক্ত পড়ে থাকবে। বাকি রাতের সব দুঃস্বপ্ন ব্যাস!

নিজেকে কোনভাবে সান্ত্বনা দিয়ে টিভি দেখতে বসে পড়লাম।টিভির ফুল ভলিউম এর কারণে পাশে যে ফোনটা অনবরত বেজে চলেছে, সেদিকে আমার কোন খেয়াল নেই। হঠাৎ মোবাইলের লাইট অন থাকতে দেখে আমার সন্ধি ফিরে এলো। দ্রুত ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম মা কল করেছে।

মা এতবার কেন কল করলো? কোন কিছু না ভেবে কল ব্যাক করলাম। ওপাশ থেকে মূর্ছে যাওয়া কন্ঠে মা,

_নিলা আমাদের রাজা,,,,,, একি হয়ে গেল আমাদের রাজার? এখন আমি কি নিয়ে বাঁচবো?

মায়ের হেঁয়ালি মার্কা কথা শুনে, আমি মাকে জোড়ে একটা ঝাড়ি দিয়ে বললাম,
_মা কি হয়েছে ভাইয়ের? একটু পরিষ্কার করে কথা বলো। তোমাদের সবার কি হয়েছে ?সবাই আজকাল এলোমেলো করে কেন কথা বল?

মা বিলাপের সুরে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
_কিভাবে বলবো তোকে নীলা!
তোর ভাই খুন হয়েছে। কেউ একজন এসে তোর ভাইকে খুন করে গেছে। তোর ভাই আর বেঁচে নেই!

আমার কান থেকে ফোনটা নিচে পড়ে গেল। আমি পুরো স্তব্ধ হয়ে গেলাম! আমি যা শুনছি তা কি সত্যি? গতরাতে তো আমি এরকম কিছুই দেখেছিলাম। কিন্তু মা তো বলছেন মিনহাজ কুষ্টিয়ায়। তাহলে ভাইয়ের খুন,,,,,??

(চলুক,,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *